Choose your career and build your career to be successful in Bangla


Choose your career and build your career to be successful in Bangla , To be successful, at work Increase performance, Preferred career Modern career, Ways to handle the office ,The key to success Career is joyful, Decided to build a career, The way career selection ,The habit of career destruction
Choose your career and build your career to be successful in Bangla



কর্মক্ষেত্রে সফল হতে

কর্মক্ষমতা বাড়ান

পছন্দের ক্যারিয়ার

আধুনিক ক্যারিয়ার

অফিস সামলানোর উপায়

সাফল্যের চাবিকাঠি

কর্মজীবন আনন্দময়

ক্যারিয়ার গড়তে সিদ্ধান্ত

যেভাবে ক্যারিয়ার নির্বাচন

ক্যারিয়ার ধ্বংসের অভ্যাস


কর্মক্ষেত্রে সফল হতে


কর্মক্ষেত্রে সফল হতে সবাই-ই চান। আর সেজন্যে জীবনের প্রতিটি ধাপে হিসেব করে 

পা ফেলেন একজন ক্যারিয়ার সচেতন মানুষ, কাজ করে চলেন ভবিষ্যতের জন্যে।

কিন্তু যতটা চেষ্টাই করা হোক না কেন, কর্মজীবনে কিছু কিছু কাজে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন অনেকেই।

না চাইতেও করা এই ভুলগুলো কর্মক্ষেত্রে প্রতি পদে পদে সামনে চলে আসে আমাদে,। তৈরি করে বাঁধা। 

আর তাই বিচ্ছিরি এই ভুল কাজগুলো থেকে দূরে থাকতে কোন কর্মক্ষেত্রে যে কোন কাজ শুরু করার আগেই নিজেকে করে নিন এই কটি প্রশ্ন আর উত্তরের ওপর ভিত্তি করে তবেই হাত দিন কাজে। 

কর্মক্ষেত্রে সফল হতে-

১. কেন কাজটি করছি?

কোন কাজ শুরু করার আগেই নিজেকে এই প্রশ্নটি করুন। এতে করে কাজটিতে নিজের গুরুত্ব এবং আপনার

জীবনে কাজটির গুরুত্ব সম্পর্কে পরিষ্কার একটা ধারণা চলে আসবে ( বিজনেস ইনসাইডার ) আপনার মনে।

নিজের লক্ষ্য সম্পর্কেও যথেষ্ট পরিস্কার হয়ে যাবেন আপনি।

২. আমার লক্ষ্য কী?

কেন কোন কাজ করছেন আপনি সেটা নিজেকে পরিস্কারভাবে জানাতে পারলে নিজের লক্ষ্য সম্পর্কেও বেশ ভালো

একটা ধারণা চলে আসবে আপনার মনে। তবে হতে পারে আপনার সমগ্র লক্ষ্যের একটা

মাত্র অংশ জুড়ে রয়েছে এই কাজটির ফলাফল। আর কাজ শুরুর আগে নিজের সেই পুরো লক্ষ্য সম্পর্কেও জানতে চান নিজের কাছে। 

তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন ঠিক কতটা দরকারি এই কাজটি আপনার পুরোটা লক্ষ্যের জন্যে।

৩. কখন ও কোথা থেকে শুরু করব?

আপনি একটা কাজ করবেন আর সেটা সম্পর্কে পুরোটা ধারণা রাখবেন না সেটা একদমই কাজের কথা নয়। 

আপনি যদি না-ই জানেন যে আপনার শক্তির আর দূর্বলতার জায়গাগুলো কোনটা আর সেই

অনুসারে কোথা থেকে শুরু করতে হবে সেই সিদ্ধান্ত না নিতে পারেন, তাহলে কাজটিতে আপনি খুব সম্ভবত বিফল হবেন। 

তাই কোথা থেকে শুরু করতে হবে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন। ঠিকঠাক জবাব পেলেই কাজে নামুন। 

আর সময়ের ব্যাপারে নিজেকে প্রশ্ন করে নিলেও সুযোগের অপেক্ষায় বসে না থেকে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করুন ( প্রোসপারাস হার্ট )।

৪. আমার বন্ধু ও শত্রু কারা?

কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই নিজের বন্ধু ও শত্রুদেরকে চিনে রাখুন ..বিজনেস ইনসাইডার..।

শত্রুদের সম্ভাব্য দূর্বলতা ও শক্তির জায়গাগুলোকে জানুন। তাদেরকে ভালোভাবে বুঝতে শিখুন।

তবে শত্রুদের চাইতেও যে জিনিসটি আপনার বেশি জানা জরুরী সেটা হচ্ছে, কারা আপনার বন্ধু। কোন কাজই একা করা সম্ভব নয়।

সহায্যের জন্যে অনেককেই দরকার পড়বে আপনার কাজের সময়। আর তাই নিজের বন্ধুদেরকে চিনুন।

৫. কাজটা করতে কী কী দরকার?

প্রত্যেকটি কাজেরই একটা জ্বালানি দরকার পড়ে। একেবারে খালি হাতে কোন যুদ্ধে জয়ী হওয়াটা প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি। 

আর তাই নিজের কাজটাকে পরিমাপ করুন। এটাকে শেষ অব্দি সফল করতে

হলে ঠিক কী কী দরকার আপনার এবং সেটার পরিমাণ কতটুকু তা হিসেব করুন।

৬. লাভের হিসেব কী করে করব?

প্রত্যেকটি কাজেরই লাভ না হয় লোকসান- কিছু একটা থাকে। বলা হয়, হিসেব করলে তবেই সেই ব্যাপারটা 

ভালোভাবে বুঝতে পারা যায় এবং আরো উন্নতি করা যায়। তাই কাজ শুরুর আগে ভেবে নিন কি করে

এই হিসেবটা করবেন আপনি ( ডেইলি রিড লিস্ট )। হতে পারে সেটা কতটা শ্রম দিচ্ছেন এবং তারপর কতটা ফেরত পারছেন সেটার তুলনামূলক হিসেবের মাধ্যমে।

কাজেই মানুষ বেঁচে থাকে। কাজই মানুষের জীবনকে সাঁজিয়ে তোলে। করে তোলে অন্যের চাইতে আলাদা।

আর তাই সেই কাজকে আরো একটু সুন্দর ও সত্যিকারভাবে সফল করে তুলতে এই কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর সত্যিই বেশ সাহায্য করবে আপনাকে।


কর্মক্ষমতা বাড়ান


১। জরুরী কাজে কম সময় ব্যয় করুন

নিজেকে নিজেই একটি ডেডলাইন দিন। কাজটি জরুরী, কিন্তু সময় আছে বলে যদি ফেলে রাখেন তাহলে শেষ মুহুর্তেও দেখা যাবে অনেক কাজ বাকি।

তখন তাড়াহুড়া করে কাজ করলে ভাল হবে না কাজটি। তাই অযথা সময় ব্যয় করবেন না। 

তার চেয়ে বরং সময় বেঁধে দিন নিজেকে। প্রতিদিন আপনার জরুরী কাজগুলো নির্দিষ্ট করুন, একটা টার্গেট ঠিক 

করুন কতটা সময়ের মধ্যে কাজগুলো শেষ করবেন। এতে আপনার কাজের গতি বাড়বে, কাজও ভাল হবে।

২। নিজের সর্বোচ্চ সহ্য ক্ষমতা ব্যবহার করুন

প্রতিদিন নিজের পরিশ্রম করার ক্ষমতাকে বাড়ানোর চেষ্টা করুন। আরেকটু বেশী কাজ দিন নিজেকে।

অল্প অল্প করে বাড়ান। আজ অনেক ক্লান্ত? রোজকার ব্যায়ামটা আর করবেন না। না। এভাবে অভ্যাসটা বদলাবেন না। 

একদিনের ছাড় আপনাকে আরও অনেকদিন ছাড় দিতে বাধ্য করবে। বরং ১ ঘন্টার জায়গায় ৩০ মিনিট করুন। কিন্তু কাজটা অবশ্যই করুন।

৩। সব কিছু গুছিয়ে নিন

আপনি যখন কোন কাজে বসেন ভেতরে ভেতরে কি তাড়া বোধ করেন যেন কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হয় নি? 

একটা কাজের ফাঁকে কি এমন ছোট ছোট টুকুটাকি কিন্তু জরুরী কাজেরা আপনাকে উদ্বিগ্ন করে? এসব কাজের একটা লিস্ট করে ফেলুন।

একদিন সময় নিয়ে গুছিয়ে করে ফেলুন কাজগুলো। অথবা সেগুলো এমন পর্যায়ে নিয়ে আসুন যাতে করা খুব সহজ হয়।

জরুরী বড় কাজের মাঝে মনোযোগ নষ্ট করতে দেবেন না এই কাজগুলোকে।

৪। ক্যাফেইন গ্রহণ করুন

ক্যাফেইন গ্রহণ কিন্তু পরিমাণ মত হলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ নয়। ক্যাফেইন শরীরে শক্তি জোগায়।

আপনি অবশ্যই কফি আসক্ত একজন মানুষে পরিণত করবেন না নিজেকে। কিন্তু কিছু বিশেষ কাজের আগে নিজেকে তরতাজা করতে ক্যাফেইন গ্রহণ করুন।

৫। সরাসরি ‘না’ বলুন

নতুন কোন কাজ যদি আসে তাহলে খেয়াল করে দেখুন সেটা আপনার ১-১০ এর মধ্যে জরুরী কাজগুলোর সাথে 

কোন বিপত্তি তৈরি করে কিনা! অথবা বাড়তি প্রেসার তৈরি করে কিনা। কোন সমস্যা না থাকলে কাজটি গ্রহণ করুন। নাহলে বাদ দিন। 

কারণ একটি বাড়তি কাজ আপনার দরকারি কাজগুলোর মান খারাপ করতে পারে।

৬। অমনোযোগের সাথে মেইল পড়বেন না

আপনার মেইলে অবশ্যই কোন গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ রয়েছে আপনার জন্য। যখন পড়বেন অবশ্যই তার রিপ্লাই দেবেন বা দরকারি পদক্ষেপ নেবেন।

যদি তা না করতে চান, যদি এতটাই অবসাদ বোধ করেন তাহলে পরে পড়ুন। অযথা সময় নষ্ট করবেন না।

৭। নিজের ভবিষ্যতকে একটা চিঠি লিখুন

নিজেকে ভবিষ্যতে কোন অবস্থানে দেখতে চান আপনি? তাকে জানান তার জন্যই করছেন কাজগুলো।

অনেক অপছন্দের কাজ সহজ হয়ে যাবে করা। 


পছন্দের কাজে ক্যারিয়ার


পছন্দের কাজে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে-

১. এই ক্ষেত্রে আপনাকে শুরুতেই খুঁজে বের করতে হবে কোন কাজটি আপনি করতে পছন্দ করেন। 

এক জায়গায় ঠান্ডা ও শান্ত মনে বসুন, তারপর নিজেকে কিছু প্রশ্ন করুন –

 সকালে কীভাবে আপনার ঘুম ভাঙ্গে?

 টাকা পয়সা যদি কোন সমস্যা না হত তাহলে আপনি কোন কাজটি করতেন?

 কোন কাজে আপনার দক্ষতা বেশি?

 আপনি কোন ব্যাপারে জানতে ও কাজ করতে বেশি আগ্রহী?

 কোন কাজ করতে আপনি বেশি আনন্দ বোধ করেন?

 অন্যান্য সফল মানুষের কোন ব্যাপারটিতে আপনি ঈর্ষা বোধ করেন?

২. প্রশ্নের উত্তরগুলো একটা কাগজে লিখুন। এরপর একটি বড় কাজ আপনার করতে হবে।

আপনাকে ভেবে বের করতে হবে “সাফল্য” বলতে আপনি আসলে কী বোঝেন? আমাদের সমাজের একটা বড় অংশ ভেবে থাকেন সাফল্য মানে হচ্ছে মাস শেষে একটি বড় অংকের স্যালারি।

সুতরাং আপনি একটু ভেবে বের করুন আপনার কাছে সফলতা আসলে কী জিনিস? কারণ আপনি সফলতাকে যেভাবে দেখবেন, 

আপনাকে ঠিক সেইভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। যেমন ধরুন, আপনি চান যে আপনার ক্যারিয়ার এমন 

ভাবে গড়ে উঠুক যেখানে আপনি আপনার সময়ের একটা বড় অংশ পরিবারকে এবং সামাজিকতা পালনে দিতে পারবেন। 

এইক্ষেত্রে নিজের ব্যবসা শুরু করা একটা ভালো উপায় হতে পারে। কিন্তু ব্যবসা শুরু করার সময় আপনার যে পরিমাণ পরিশ্রম করতে হবে

সেটি করতে আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত কি না তা নিয়েও চিন্তা করুন।

৩. এবার আপনি আপনার কার্যক্ষমতা নিয়ে চিন্তা করুন। কারণ অনেক উদাহরণ আছে যে কেউ একজন

একটা কাজে ভালো নয়, কিন্তু সেটি কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সেই ব্যক্তি কখনোই সফল হবেন না। ডিজাইনিং এ আপনার দক্ষতা ভালো নয় কিন্তু ফ্যাশন ডিজাইনিং কে 

আপনি পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান তাহলে কিন্তু ব্যাপারটা ব্যর্থতায় রুপ নেবে। তাই আগে চিন্তা করুন কোন আইডিয়া গুলো 

নিয়ে আপনার বেশ ভালো দক্ষতা ও জ্ঞান আছে এবং কোন আইডিয়া গুলো এখনো নতুন এবং মানুষ আগ্রহী হবে।

এরপর সেগুলো নিয়ে কাজ করার কথা ভাবা যাবে।

৪. যে কাজে স্বাচ্ছ্যন্দবোধ সবচাইতে বেশি করবেন আইডিয়া গুলো থেকে সেটা বেছে বের করুন।

আপনি যেই কাজ করতে শুধু ভালোবাসেন সেটি পছন্দ করার চাইতে যে কাজটি ভালোবাসেন এবং সেই কাজে আপনার দক্ষতা আছে সেটিই বেছে নিন। যেমন আপনি রান্না করতে ভালোবাসেন, 

ডিজাইন করতেও ভালোবাসেন। কিন্তু দক্ষতা আপনার রান্নায় বেশি, সুতরাং সেটিই আপনি বেছে নিন।

কারণ শুধু ভালোবাসেন বলে একটা কাজ শুরু করলে যদি পরে সফল না হোন তবে জিনিসটা থেকে আগ্রহ চলে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

৫. যদি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন তাহলে সবগুলো আইডিয়াই একবার করে ট্রাই করুন।

তবে বাণিজ্যিক ভাবে না করাই শ্রেয়। কারণ শুধু শুধু অর্থ নষ্ট না করে জমিয়ে রাখা উচিত। স্বাচ্ছন্দ্যবোধক কাজ খুঁজে পাওয়ার জন্য শখের বশেই কাজগুলো করুন। ধরুন কিছু একটা রান্না 

করলেন, কিংবা একটা ড্রেস ডিজাইন করলেন। ভেবে দেখুন কোনটাতে আপনি দক্ষ বেশি এবং কোনটা করতে আনন্দ বেশি লেগেছে। সেটা বেছে নেয়ার চেষ্টা করুন।

৬. আইডিয়া পছন্দ হওয়ার পর এইবার আপনার আইডিয়া নিয়ে একটু রিসার্চ করুন।

যদি আপনি একটি ফ্যাশন হাউজ দিতে চান তাহলে কেমন খরচ পড়বে, কী কী উপকরণ লাগবে, কী ধরনের যন্ত্রপাতি লাগবে, বাজার কেমন, বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্যাশন হাউজগুলো কেমন ব্যবসা করছে,

তাদের কাপড়ের কোয়ালিটি কেমন, ডিজাইন কেমন, তাদের পণ্যে ঘাটতি কী এগুলো খুঁজে বের করুন। 

তারপর ভাবুন আপনি যে পণ্য আনবেন সেগুলো তে নতুন কী থাকবে যা বর্তমান ব্যবসায়ীরা দিতে পারছে না। 

এবং সেটা করার জন্য আপনার কী কী নতুনত্ব আনতে হবে সেগুলো নিয়েও গবেষণা করুন।

৭. এবার আপনার কাজ হবে কিছু মানুষ খুঁজে বের করা যারা আপনার মত একই কাজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

তাদেরকে সাথে নিন। অন্তত ৫ জন মানুষ খুঁজে করুন। তাদের থেকে আইডিয়া নিন, আপনার আইডিয়া গুলো আলোচনা করুন। সবার আইডিয়া একত্র করে সেগুলোর ভুল ত্রুটি, 

ভালো মন্দ খুঁজে বের করে সেগুলো নিয়ে কথা বলুন। মনে রাখবেন ১ মাথার চাইতে ৫ মাথা অনেক বেশি চিন্তা করতে সক্ষম।

৮. এরপর আপনি যখন আপনার আইডিয়া বাস্তবায়ন করতে শুরু করবেন, তখন সেই কাজের পাশাপাশি 

অন্যান্য আইডিয়া গুলো নিয়েও অল্প অল্প করে কাজ করতে শুরু করুন। কাজগুলো এমন ভাবে করবেন যাতে আপনের চলমান প্রজেক্টের ক্ষতি না হয়, আবার অন্য প্রজেক্টগুলোও পড়ে না থাকে।

ক্যারিয়ার ভাষায় এটিকে বলা হয় ওয়াইড অ্যাচিভার । যদি একাধিক প্রজেক্ট একসাথে চলতে থাকে,

তাহলে একটা প্রজেক্টের ক্ষতি হলেও অন্যটি দিয়ে সবগুলো ব্যালেন্স করে নেয়া সম্ভব।

এইক্ষেত্রে অবশ্য আপনার ভাবা উচিত যে আপনি আসলে কোন পন্থায় বিশ্বাসী? কেবলমাত্র একটি আইডিয়ার উপর নির্ভর করে সফলতা অর্জন? নাকি একাধিক আইডিয়ার উপর বিভিন্ন সেক্টরে সফলতা অর্জন?

আপনার চিন্তাধারায় যে সিদ্ধান্ত নিতে চান, নিয়ে নিন।

৯. যে আইডিয়া নিয়ে কাজ করছেন বা প্রজেক্ট চালু করেছেন। সেই আইডিয়ার একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে শাখা প্রজেক্ট খুলতে পারেন।

যেমন ধরুন আপনার যদি একটি রেস্টুরেন্ট হয়ে থাকে, সেই রেস্টুরেন্ট এর একটা আইটেমের একটি নির্দিষ্ট উপকরণ নিয়ে কাজ করতে পারেন।

এতে আপনার ক্লায়েন্ট বাড়বে, প্রজেক্ট বড় হবে, আয়ও বাড়বে।

১০. নিজের কার্যক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করুন। একবারে প্রজেক্ট শুরু হয়ে গেলেই সেটা নিয়ে কাজ না 

করে তার পাশাপাশি আপনি যে কাজটি করেন সেটি নিয়ে আরো পড়াশোনা করুন। প্র্যাক্টিস করুন। ধরুন আপনি একজন শেফ, খুব ভালো রান্না করেন।

তাহলে আপনি শেফ এর নতুন একটি কোর্স করুন, আরো নতুন ও ভিন্নধর্মী কিছু রান্না শিখুন। মনে রাখবেন, আপনার দক্ষতা যত বাড়বে, প্রজেক্টের কাজ ও উন্নতি ও তত বেশি হবে।

১১. নিজেকে চ্যালেঞ্জ করা ক্যারিয়ারে অনেক বড় একটি পরিবর্তন আনতে পারে। তাই প্রতিনিয়ত নিজের ক্ষমতা ও দক্ষতাকে চ্যালেঞ্জ করুন।

যতটুকু কাজ করতে পারেন তার চাইতে বেশি করার চেষ্টা করুন। তবে খেয়াল রাখবেন, আপনি যখন সেটা করতে যাবেন, 

আশেপাশের মানুষ আপনাকে যা আছে তাই নিয়ে খুশি থাকতে বলবে। সেইদিকে কান না দিয়ে আত্মবিশ্বাসী হোন, নিজেকে সাফল্যের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান।

১২. একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আপনার দক্ষতার উপর নির্ভর করে আপনি যে প্রজেক্ট শুরু করেছেন, শুরু থেকেই 

সেটি সফল হবে এমন কোন কথা নেই। অনেক ক্ষেত্রে আপনার ভালো পরিমাণে আয় আসতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। কিন্তু তাই বলে ধৈর্য্য

হারিয়ে প্রজেক্ট বন্ধ করে দেয়ার প্রশ্নই আসে না। খানিক আগে বলছিলাম, নিজেকে চ্যালেঞ্জ করুন। আজকে হচ্ছে না? কালকে আবার চেষ্টা করুন।

কালকে না হলে পরশু আবার চেষ্টা করুন। কিন্তু ধৈর্য্য হারানো চলবে না।

আপনার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ, আপনার ধৈর্য্য, আপনার দক্ষতাই আপনাকে অনেকদূর নিয়ে যাবে। আর আগেই বলেছি, যে কাজে আপনি

আনন্দ পাবেন, সেটি করতেও ভালো লাগবে। আগ্রহ থাকলে করতে ভালো লাগে, দক্ষতাও বাড়ে। তাই যে কাজেই ক্যারিয়ার করুন 

না কেন, সেই কাজটিকে আপনি কতটুকু ভালোবাসেন সেইদিকে নজর দেয়া জরুরী। 



আধুনিক পাঁচটি ক্যারিয়ার


১. ট্রান্সলেটর

এখন গ্লোবালাইজেশনের যুগ। তাই এক ভাষার লেখা কিংবা কথা অন্য ভাষায় ভাষান্তর করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এক্ষেত্রে নির্ভুলভাবে ভাষান্তর যারা করতে পারেন, তাদের অত্যন্ত ভালো চাহিদা রয়েছে।

সহজে এ কাজটি শেখা যায় না। এজন্য প্রয়োজন হয় যথাযথ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার।

বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান, বিদেশি দূতাবাস, মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে চাহিদা রয়েছে ট্রান্সলেটরের।

২. বিজ্ঞাপন প্রফেশনাল

বিজ্ঞাপন ইন্ডাস্ট্রির কদর দিন দিন বাড়ছে। এ অবস্থায় বিজ্ঞাপনের নানা কাজে জড়িত মানুষের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।

শুধু টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়া নয়, অনলাইনসহ আরো নানা ক্ষেত্রে বাড়ছে বিজ্ঞাপন প্রফেশনালদের কদর।

বিজ্ঞাপনের এ বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে যারা প্রবেশ করবে, কিছুটা অভিজ্ঞ হলেই তাদের ভালো বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

বিজ্ঞাপন প্রফেশনালদের কাজের জন্য মিডিয়া প্ল্যানিং অ্যান্ড বায়িং, প্রোডাকশন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইভেন্টস অ্যান্ড অ্যাক্টিভেশন, চ্যানেল মার্কেটিং, রেডিও, পিআর ইত্যাদি ছাড়াও বহু ক্ষেত্র রয়েছে।

৩. অ্যাকচুয়ারি

বীমার ঝুঁকি বিষয়ে হিসাব করার কাজ করে এ পেশাজীবীরা। এ ধরনের ব্যক্তিরা মূলত তাদের অংক কষার দক্ষতা

ব্যবহার করে সম্ভাব্যতা, ঝুঁকি ইত্যাদি নির্ণয় করে। তাদের নির্ণীত এ ঝুঁকির মাত্রা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে বীমার প্রিমিয়াম ও অন্য আর্থিক বিষয়গুলো নির্ণয় করে। 

এটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণেও কাজে লাগে।

৪. আইটি প্রোগ্রামার

অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামার কম্পিউটারের অ্যাপ্লিকেশন নির্মাণ ও সংশোধন করেন। তারা সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনের কোডগুলো লেখেন। 

এ কাজের জন্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ও অন্য সফটওয়্যারগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানা থাকতে হবে।

পাশাপাশি বিশ্লেষণী ও যুক্তি ক্ষমতা থাকা আবশ্যক। কাজ ঠিকঠাক শিখতে পারলে এ খাতে কাজ করে বিপুল অর্থ আয় করা সম্ভব।

৫. ভেটেরিনেরিয়ান

প্রাণীদের নানা রোগের চিকিৎসায় ভেটেরিনেরিয়ানরা কাজ করেন। এক্ষেত্রে চিকিৎসায় আপনাকে প্রাচীন ধ্যান-ধারণা নয়,

আধুনিক নানা পদ্ধতির সমন্বয় করতে হবে। আর এ কাজে সাফল্য পেতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।

সঠিকভাবে কাজটি আয়ত্ব করতে সক্ষম হলে আপনি যথেষ্ট অর্থ আয় করতে পারবেন। পাশাপাশি প্রাণীসেবা করার সাধ থাকলে তাও মিটিয়ে নিতে পারবেন। 




অফিসের চাপ সামলানোর উপায়


অফিসের কাজের চাপ সামলানোর কিছু কার্যকরী উপায়-

১। কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ করুন

সারাদিনে অফিসে অনেক কাজ করতে হয়। কিন্তু সব কাজের গুরুত্ব সমান না। গুরুত্ব অনুসারে কাজের তালিকা নির্ধারণ করে ফেলুন।

যে কাজটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটি আগে করুন। দিনের শুরু থেকে এভাবে কাজ করলে কাজগুলো অনেক বেশি গুজিয়ে নিতে পারবেন।

আর সবসময় মনে রাখবেন যেকোন কাজ যেকোন সময় চলে আসতে পারে। 

সেইভাবে কাজ করার জন্য মনে মনে প্রস্তুত থাকুন। দেখবেন তখন আর বাড়তি কাজ শেষ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে না।

২। হালকা ব্যায়াম করুন

সারাদিন চেয়ারে বসে থাকলে যে ব্যায়াম করা যায় না, এই রকম ধারণা করা ঠিক নয়। 

কাজের ফাঁকে ফাঁকে চেয়ারে বসেই একটু হাত-পা নাড়াচাড়া করুন। চা-কফি খান, নয়তো একটু ঘুরে আসুন ডেস্কের বাইরে থেকে। 

খানিক বিরতি আপনাকে কাজের প্রতি আরও মনোযোগী করে তুলবে।

৩। গল্প করুন

সব সময় কাজের মধ্যে ডুবে থাকবেন না। এতে কাজের প্রতি অনীহা চলে আসে। কাজের ফাঁকে সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করুন। 

কোন সিরিয়াস বিষয়ে না, খুব হালকা কোন বিষয়ে কথা বলুন। এতে কাজের চাপটা কমে যাবে আর কাজ করতেও বিরক্ত লাগবে না।

৪। নিজেকে নিয়ে ভাবুন

সারাক্ষণ অফিসের কাজের কথা ভেবে অস্থির হবেন না। নিজেকে সময় দিন কিছুক্ষণ। কয়েকমিনিট চোখ বন্ধ করে রাখুন।

আর নিজেকে বলুন ‘ আমি কাজগুলো সঠিক সময়ের মধ্যে করতে পারব। আমি জানি কিভাবে কাজের চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।

আমি সব কাজ সামলিয়ে উঠতে পারব’। এবার চোখ খোলুন, আর দেখুন নিমিষেই কাজগুলো শেষ হয়ে গেছে।

৫। বিশ্রাম নিন

কাজের ফাঁকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও বিশ্রাম নিন। খুব বেশি সময় বিশ্রামে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

একটু অফিসের বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারেন। আপনার হাত। কাঁধ খানিকটা ম্যাসাজ করতে পারেন। অথবা চোখ বন্ধ করে রাখুন কিছুক্ষণ।

এই কাজগুলো আপনাকে কাজের একঘেয়ামিতা কাটাতে সাহায্য করবে। 






ব্যর্থতাই যখন সাফল্যের চাবিকাঠি


ব্যর্থতা প্রতিটি মানুষের জীবনে অন্যতম সঙ্গী। পৃথিবীতে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যে কোনকিছুতে কখনো ব্যর্থ হয় নি।

বিশেষ করে ক্যারিয়ারে ব্যর্থতা অন্যতম একটি মূল কারণ। তবে এটা মনে রাখা উচিত যে, আপনি যখন কোন

কিছুতে একবার ব্যর্থ হবেন, তখন সেটা আপনার ভবিষ্যতে সাফল্যের ক্ষেত্রে মূল উৎসাহ হয়ে দাঁড়াবে।

ব্যর্থতার কষ্ট আপনাকে অসম্ভব জয় করতে উদ্যম জোগাবে। যদি একটি মানুষ কোন কিছুতে ব্যর্থ হয়, তখন সেটা তার জন্য কিছু আশীর্বাদ বয়ে নিয়ে আসে।

১. সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাবধানতা আসবে।

আপনি যখন একবার কোন কাজে ব্যর্থ হবেন, তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার সিদ্ধান্তটি ভুল ছিলো। 

যে সিদ্ধান্তটি আপনি নিয়েছিলেন সেটা বাস্তবায়ন করার মত পরিস্থিতি তৈরি হয় নি বিধায় আপনি ব্যর্থ হয়েছেন। সুতরাং এই শিক্ষাটি কাজে লাগবে।

ভবিষ্যতে যখন পুনরায় কোন কিছু নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন তখন এই ভুলের অভিজ্ঞতা 

আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাবধানতা অবলম্বনে সাহায্য করবে।

২. আপনি নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাবেন।

যখন আপনি ব্যর্থ হবেন, তখন আপনার মন মানসিকতা সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেবে। মানুষ যখন পাহাড়ে চড়তে গিয়ে ব্যর্থ হয়,

তখন সে কিন্তু পাহাড় চড়া থামিয়ে দেয় না। সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে বার বার চেষ্টা করতে থাকে।

ঠিক একই জিনিসটাই ঘটে এখানেও। একবার ব্যর্থ হওয়ায় আপনি আবার চেষ্টা করতে চাইবেন এবং

নিজেকে যখন প্রস্তুত করবেন, তখন দেখবেন নিজের মাঝে এমন অনেক কিছুই খুঁজে পাচ্ছেন যেটা আগে আপনি আবিষ্কার করেন নি।

লুকায়িত এই নতুন আপনিই আপনার চ্যালেঞ্জ জিতবে।

৩. বিপদের বন্ধুদের চিনতে পারবেন।

স্বাভাবিকভাবেই আপনি যখন একবার ব্যর্থ হবেন, তখন আপনার বিপদের বন্ধুদের চিনতে পারবেন।

একজন মানুষ যখন ব্যর্থ হয় তখন অনেক কিছুই হারায় এবং যারা কেবল আপনার সুসময়ের বন্ধু আপনার ব্যর্থতার পর দেখবেন তাদের

কেউই আপনার পাশে নেই। সেই সময় যারা আপনাকে সাহস জোগাবে, উৎসাহ দেবে তারাই আসল বন্ধু।

তারাই প্রকৃত চলার সঙ্গী। সুতরাং তাদেরকেই প্রায়োরিটি দিতে শিখুন।

৪. আপনার দুর্বলতা বুঝতে পারবেন।

প্রত্যেকটা ব্যর্থতার পেছনেই কোন না কোন দুর্বলতা লুকিয়ে থাকে। পরীক্ষায় তারাই ফেল করে যারা ঐ বিষয়ে দূর্বল হয়।

যদি কোন উদ্যোগে প্রথমবার ব্যর্থ হন তাহলেই আপনি বুঝে যাবেন আপনার দুর্বলতাটা কোথায়। তাই এর পরের বার

চেষ্টা করতে চাইলে সবার আগে নিজের দুর্বলতা গুলো চিহ্নিত করুন, সেগুলো নিয়ে ভাবুন।

তারপর সেই দুর্বলতা গুলো দূর করার চেষ্টা করেন। সাফল্য অর্জন সহজ হয়ে যাবে।

৫. আপনার অহংবোধ মুছে যাবে।

অনেক সময় ব্যর্থতার অন্যতম বড় কারণ হয়ে থাকে অহংকারবোধ। একটা বিষয়ে যখন সাফল্য ধাপে ধাপে আসতে 

শুরু করে তখন মানুষের মাঝে অহংকার বোধ চলে আসে। আর সেটা তখন মানুষকে সামনের বাধাগুলো সম্পর্কে অন্ধ করে দেয়।

যার কারণে মানুষ মুখ থুবড়ে পড়ে। আপনার ক্ষেত্রে যদি এটি হয়ে থাকে তাহলে অহংকারবোধ মুছে ফেলুন।

৬. সমালোচনা গ্রহণ করতে শিখে যাবেন।

সমালোচনা গ্রহণ করতে পারা খুবই কঠিন একটি ব্যাপার। কিন্তু আপনি যদি কোন কিছুতে একবার ব্যর্থ হন, তখন

আপনা আপনিই সমালোচনা গ্রহণ করার মানসিকতা আপনার মাঝে চলে আসবে। মানুষ আপনার যত বেশি সমালোচনা করবে,

আপনি ততই নিঁখুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। মনে রাখবেন, সমালোচক ভালো মন্দের চিন্তাটা আপনার হয়ে করছে বলেই

আপনার মন্দ দিক নিয়ে সমালোচনা করছে। তার সমালোচনা থেকে যদি আপনি মন্দ দিকটা মুছে ফেলতে পারেন তাহলে সাফল্য একেবারেই নিশ্চিত।

৭. “যদি”-র ঘুরপাক বন্ধ হবে।

মানুষ যখন কোন সিদ্ধান্ত নিতে যায়, তখন তার মাথায় একটা জিনিস ঘোরে। “যদি এটা হয়?”“যদি ওটা হয়?” এই 

ব্যাপার গুলো প্রথম ব্যর্থতার পর আর থাকবে না। কারণ আপনি তখন জেনেই যাবেন যে এই বিষয়ে পুনরায় সিদ্ধান্ত নিলে যে কী হতে পারে।

তাই প্রস্তুতি নেয়ার সময় আর এইসব দ্বিধাবোধ কাজ করবে না।

৮. আপনি অন্যের সাহায্য চাইতে পারবেন।

আপনার যেসব বন্ধু আছে তাদের কাছে আপনি সাহায্য চাওয়া শিখবেন। তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারবেন।

কারণ একা সিদ্ধান্তে ব্যর্থ হওয়ার অভিজ্ঞতা আপনার হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আশেপাশের মানুষের সাহায্য সহযোগীতা খুবই জরুরী হবে।

৯. সম্ভাব্য ক্ষতি সম্পর্কে পূর্ব ধারণা চলে আসবে।

একবার ব্যর্থ হওয়ার পর আপনি জেনে যাবেন কী ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। তাই পরের বার নতুন উদ্যমে 

কাজ শুরু করার সময় যদি সেগুলো নিয়ে চিন্তা করেন এবং সেই হিসাবে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে প্রস্তুতি নেন তাহলে এবার আর সেই ক্ষতিগুলো হবে না।

১০. নিজের সাফল্যকে বাহবা দিতে শিখবেন।

আপনার সাফল্য আপনাকে আনন্দিত করবে। আপনি পেরেছেন – এই আনন্দ আপনাকে উদ্বেলিত করবে। হতাশা কেটে যাবে।

নতুন কিছু করতে আর দ্বিধাবোধ করবেন না। ক্যারিয়ারে আত্মবিশ্বাস আসবে।

উপরের প্রত্যেকটি জিনিসই একটি সাকসেসফুল ক্যারিয়ার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয়। এবং প্রথম ব্যর্থতা আপনার জন্য সাময়িক 

পীড়াদায়ক হলেও তা আপনার জন্য আশীর্বাদ নিয়ে আসবে। তাই ব্যর্থতায় হতাশ না হয়ে শিক্ষা নিন, সফল হোন। 






কর্মজীবন আনন্দময়


কর্মজীবন আনন্দময় করতে-

১. প্রতি সন্ধ্যায় পরিকল্পনার জন্য সময় নিন।

কোন কাজে সাফল্যের জন্য অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে পরিকল্পনামাফিক কাজ করা। 

কারণ আপনি যেটা পরিকল্পনা করবেন, সেটা আপনার কাজের ধরণকে নির্দিষ্ট করে দেবে। ফলে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে, বা ভুল পদ্ধতিতে কাজ করে সময় নষ্ট করার ঝুঁকি থাকে না।

তাই প্রতিদিন সন্ধ্যায় আপনি আপনার কাজ সম্পর্কে বিশ্লেষণ করতে বসতে পারেন।

বিশ্লেষণের শুরুটা হতে পারে আপনার আজকের কাজ দিয়ে। আজকে সারাদিনে কি কি কাজ করেছেন, 

কি ধরণের পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন, কোন ভুল হয়েছে কি না, কিভাবে করলে ভালো হত এগুলো চিন্তা করুন।

একসময় যখন আজকের কাজের ফলাফল হাতে পেয়ে যাবেন, তখন আগামীকাল কি করবেন সেটা নিয়ে ভাবুন। 

আগামীকাল কি কি করতে হবে সেটা নিয়ে একটা পরিকল্পনার ছক দাঁড়া করান। 

তারপর চোখ বন্ধ করে মস্তিষ্ক শান্ত করুন, আগামীকালের জন্য নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন।

২. সামাজিক যোগাযোগ বাড়ান।

একটি সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য আপনার আশেপাশের মানুষের সাথে মেশাটা অত্যন্ত জরুরী।

তাই সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনে সামাজিক অনুষ্ঠান গুলোতে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করুন। 

সবার সাথে মিশুন, মতামত ব্যক্ত করুন। কাজ নিয়ে আলোচনা করুন।

৩. নিজের জ্ঞানের পরিধি বাড়ান।

সামাজিক অনুষ্ঠান গুলো এক ধরণের শিক্ষালয় হতে পারে আপনার জন্য। ধরুন কাজের কোন বিষয়ে আপনি আটকে গেছেন,

বা কি করতে হবে জানেন না। সেটা অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।

তারা কি করেছে সেটা জানুন, পরামর্শ নিন। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষমতা বাড়বে।

এছাড়াও ছুটির দিন গুলোতে শিক্ষণীয় স্থানগুলো পরিদর্শন করতে পারেন। যেমন, জাদুঘর।

এছাড়াও সামাজিক সচেতনতা মূলক ইভেন্টে অংশ নিতে পারেন। এতে আপনার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার পরিধি দুটোই বাড়বে।

৪. বেশি বেশি বই পড়ুন।

বই এর চাইতে নিঃস্বার্থ বন্ধু আর কেউ হতে পারে না। আপনার বই পড়ার অভ্যাস আপনার দক্ষতাকে বৃদ্ধি করবে।

তাই সময় বের করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত ৩০ মিনিট হলেও বই পড়ুন।

বই পড়লে আপনার ভেতরে ক্লান্তি, অবসাদ, টেনশন, মানসিক চাপ দূর হবে। ঘুম ভালো হবে, পরের দিনের জন্য ফ্রেশ একটা শুরু করতে পারবেন।

৫. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।

অনেক কর্মমুখী মানুষই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেন না, কিংবা নিতে পারেন না। কারণ তারা বেশি কাজ করে তাদের 

কাজের লক্ষ্যকে সফল করতে চান। নিজের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে কর্মক্ষেত্রকে সামনে এগিয়ে নিতে চান। এটি অবশ্যই একটি ভালো দিক।

কিন্তু পর্যাপ্ত না ঘুমালে বা বিশ্রাম না নিলে শারীরিক অবসাদ ও ক্লান্তি আপনার কর্মদক্ষতা কমিয়ে দেবে। 

তাই প্রতিদিন সাড়ে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। রাতে কম জেগে বেশির ভাগ সময় ঘুমিয়ে পার করুন।

এতে শরীরে শক্তি সঞ্চিত থাকবে, যা আপনি পরের দিনের জন্য কাজে লাগাতে পারবেন।

এই বিষয়গুলো মেনে চলুন, দেখবেন আপনার কর্মদক্ষতা, আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে। আপনি ভুল না 

করেই অনেক কাজ শেষ করে ফেলতে পারবেন। এতে নিজের প্রতি যেমন বিশ্বাস বাড়বে,

তেমনি আপনার কাজের ক্ষেত্রও আপনাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। 



<3 i=" =e==" s="=tyle=" style="text-align: center;" text-align:="">
ক্যারিয়ার গড়তে তিনটি সিদ্ধান্ত


এই পৃথিবীতে একজন ধনী মানুষের মানসিকভাবে অসুখী থাকার চেয়ে খারাপ বোধহয় আর কিছু হতে পারে না। 

যদিও এর পেছনে বিশেষ কোন কারণ নেই, কিন্তু প্রতিদিনই আশেপাশে এই ধরনের উদাহরণ অহরহই চোখে পড়ে। প্রফেশনাল জীবনে সফল এমন 

অনেক মানুষই আছেন যাদের কাছে অর্থ বিত্ত সবই আছে। কিন্তু সেই তুলনায় তারা কেন যেন সুখী নন। যদি আর্থিক দিক থেকে আপনি সফল হওয়ার 

পরেও এভাবে অসুখী থাকেন, তবে তার প্রভাব আপনার জীবনের অন্যান্য ধাপগুলোতেও পড়বে।

আত্মতুষ্টির ব্যাপারটি আপনার মাঝে থাকা প্রয়োজন। কোনো কিছু করার পর সেই বিষয়ে যদি আপনার ভেতর থেকে সন্তুষ্টি না 

আসে তবে সফলতার মর্ম আপনি কখনোই বুঝবেন না। আর যদি আত্মসন্তুষ্টি নাইই আসে, তাহলে জীবনে অর্জনের মূল্য কী?

মানুষের সফলতা ও জীবনের লক্ষ্য নিয়ে গবেষণা করার পর অনেক ধরনের সমাধানই বেরিয়েছে। কিন্তু ক্যারিয়ার কাউন্সেলররা

সবকিছু যাচাই বাছাই করে তিনটি ব্যাপারের উপর জোর দিয়ে এসেছেন। আসলে সেগুলো ব্যাপার নয়, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

মানুষ তার কর্মজীবনে যেই ভুলটি বেশি করে থাকে তা হল পরিস্থিতি বিচার না করেই সিদ্ধান্ত নেয়া।

এই ধরনের ভুল আপনার জীবনের লক্ষ্যকে বৃথা চেষ্টার দিকে ঠেলে দিতে পারে। এমনকি আপনি আর্থিক তো বটেই, মানসিক দিক থেকেও ভেঙ্গে পড়তে পারেন।

কিন্তু আপনি যদি ক্যারিয়ার শুরুর আগে তিনটি সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সাবধানতার সাথে নেন তাহলে

একটি সুন্দর ক্যারিয়ারের অধিকারী হওয়া আপনার জন্য সময়ের ব্যাপার হয়েই দাঁড়াবে।

সিদ্ধান্ত ১ –

কী করতে চান তা সাবধানতার সাথে নির্ধারণ করুন।

ক্যারিয়ার গড়ার শুরু থেকেই হাজারো ব্যাপার আপনাকে আকর্ষণ করবে। অতীত থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ, পুরো সময়টাতে ঘটে যাওয়া

ব্যাপারগুলো থেকে আপনি সহজেই আপনার জন্য পছন্দের ক্যারিয়ারের রাস্তা নির্বাচন করতে পারেন। অতীতে কাউকে কোন বিষয়ে ভালো ক্যারিয়ার 

গড়তে দেখেছেন, চাইলে সেদিকে যেতে পারেন। বর্তমানে বিশেষ কোনো বিষয়ে সবাই উন্নত ক্যারিয়ার গড়ছে, সেদিকে দৃষ্টিপাত করতে পারেন।

কিংবা ভবিষ্যৎ বিবেচনায় যদি আরো নতুন পথ খোলার সম্ভাবনা থাকে, তবে সেটাও বেছে নিতে পারেন।

মনে রাখবেন, এখন যে সিদ্ধান্তটি আপনি নেবেন, ঠিক অনুসারেই আপনার জীবনের লক্ষ্য এবং চলার ধরন নির্ধারিত হয়ে যাবে।

সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে নিজের জীবনের দিকে একবার তাকাতে পারেন। চিন্তা করতে পারেন যে আপনার জীবনে আসলে কোন বিষয়টি, কোন ব্যাপারটি কিংবা

কোন জিনিসটির অভাব রয়েছে। সেই অনুসারে চিন্তাভাবনা করতে পারেন।

তবে খেয়াল রাখা উচিত যে আপনি যে বিষয়ে বা যে পথে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চাচ্ছেন সেটা যাতে আপনার সামর্থ্যের মধ্যে হয়।

সবার সামর্থ্য সমান হয় না, আপনার চাইতে বেশি সামর্থ্যের অধিকারী, (ধরা যাক আর্থিক ভাবে উন্নত) কারো জীবনের লক্ষ্যকে নিজের করে নিতে যাবেন না।

পারিবারিক অবস্থা, আর্থিক সাপোর্ট, আপনার মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা এই সবকিছু বিচার করেই তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। 

কারণ আপনার সিদ্ধান্তকে আপনি যদি কন্ট্রোল করতে না পারেন, তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

সিদ্ধান্ত ২ –

আপনার পারিপার্শ্বিকতার অর্থ খুঁজে বের করুন।

আপনার চারপাশে যা ঘটছে, কিংবা ধরুন আপনার সাথেই যা ঘটছে, সেগুলোর আলাদা কোন অর্থ থাকে না। আপনি যে অর্থে ব্যাপারগুলোকে নেবেন,

আপনার মস্তিষ্ক ঠিক সেভাবেই আপনাকে পরিচালনা করবে। অধিকাংশ সময়ই আমরা আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া ব্যাপারগুলোকে চলে যেতে দেই। 

কিন্তু এই ঘটনার পেছনের ব্যাখ্যা কিংবা কারণ খোঁজার জন্য সময় ব্যয় করি না।

তবে এগুলোর মাঝেও আপনার ক্যারিয়ারের জন্য কিছু বার্তা লুকিয়ে থাকে। যেমন ধরুন, আপনার কিংবা পরিবারের সাথে খারাপ কিছু হল।

কোন দূর্ঘটনা, স্বাস্থ্য বিষয়ক জটিলতা, কিংবা চাকরি হারানোর মত ঘটনা। এটাই কি আপনার জীবনের শেষ? নাকি আপনার জীবন মাত্র শুরু হচ্ছে এখান থেকে?

কেউ যদি আপনাকে সবার সামনে আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে উপহাস করে, তাহলে সে কি আপনাকে ঘৃণা করে?

নাকি আপনার ভালো চায়? আপনি যাতে সবকিছুর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন সেটা চায়? 

আপনার জীবনের দূর্ঘটনার জন্য আপনি কি সৃষ্টিকর্তাকে দোষী বলবেন? নাকি আপনাকে ধৈর্য্য বাড়ানোর সুযোগ দানের জন্য তাকে ধন্যবাদ দেবেন?

এই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর যখন বের করতে পারবেন, তখন আপনার পারিপার্শ্বিকতার অর্থ আপনি বুঝতে পারবেন।

তবে আশেপাশে নয়, এই প্রশ্নগুলোর অর্থ আপনার মাঝেই বিদ্যমান। আপনি এই ব্যাপারগুলোর ব্যাখ্যা যেভাবে দেবেন, আপনার জীবনের লক্ষ্য সেভাবেই পরিবর্তিত হবে। 

তাই খেয়াল রাখবেন, ব্যাখ্যা গুলো যাতে সময়, ইচ্ছা এবং বাস্তব উপযোগীহয়।

সিদ্ধান্ত ৩ –

কীভাবে ইচ্ছা বাস্তবায়ন করবেন?

উপরের দুটো ধাপ যখন আপনি সাফল্যের সাথে পার করবেন তখন আপনার সামনে আসবে শেষ এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি।

আপনি যখন আপনার লক্ষ্য সবাইকে জানাবেন, তখন দুই ধরণের মানুষের সামনে পড়বেন। এক দল আপনাকে নিরুৎসাহিত করবে, আরেকদল 

আপনাকে উৎসাহ দেবে। যদি আপনি ভেবেচিন্তে আপনার ক্যারিয়ারের লক্ষ্য ঠিক করে থাকেন তাহলে নিজের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখুন।

যারা নিরুৎসাহিত করছে তাদেরকে এড়িয়ে যান। কারণ পাহাড়ে চড়ার সময় তারাই আপনাকে বাঁধা দেবে, যারা সেই

কঠিন লক্ষ্য পার হতে ভয় পেয়েছে, কিংবা চেষ্টা করলেও পার হতে পারনি।

সুতরাং কখনোই আত্মবিশ্বাস হারাবেন না। লক্ষ্য অনুযায়ী প্রস্তুত করতে থাকুন নিজেকে। পরিবারের সহায়তা নিন, আর্থিক নিশ্চয়তা বজায় রাখুন।

যেটা হাতের বাইরে সেটা শুরুতেই করার ঝুঁকি নেবেন না। তাতে সম্বল হারিয়ে আপনি নিঃস্ব হয়ে যেতে পারেন।

শিশু যখন হাঁটতে শেখে, তখন সে অনেক টালমাটাল করে শুরুতে। আপনার ক্যারিয়ারের শুরুটাকেও একটি শিশুর হাঁটার মত করে চিন্তা করুন।

তাই শুরুতে বাঁধা পেলে পিছিয়ে যাবেন না। নিজের বুদ্ধি বিবেকের শক্তি ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নিন।

এই তিনটি সিদ্ধান্ত যদি বাস্তবতার সাথে মিল রেখে আপনি ঠিক ঠিক নিতে পারেন, 

তাহলে ভবিষ্যতে আপনি হতে পারবেন একজন সফল ক্যারিয়ারের অধিকারী। 

তাই এখন থেকে এই তিনটি ব্যাপার মাথায় রেখে কাজ করুন, সাফল্য আসবেই। 


যেভাবে ক্যারিয়ার নির্বাচন করবেন


ক্যারিয়ার বেশ ভারি আর গাম্ভীর্যপূর্ণ একটি শব্দ। আমাদের প্রায় স্কুল লাইফ থেকেই এ বিষয়টা মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়। ক্লাস ফোরে পড়া একটা বাচ্চাও যানে লেখাপড়া শেষ করে তাকে চাকরি করতে হবে।

কিন্তু বাস্তবতা হল, এত প্রয়োজনীয় একটা বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেই কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই। এ বিষয়ে সঠিক পথ দেখানোর জন্যও আমরা কাউকে পাইনা। সবাই কিছু ধারণাকে পুঁজি করেই পরামর্শ দেয়, যেমন ‘এখন কম্পিউটার সব জায়গায়, কম্পিউটার নিয়ে পড়লে ভাল চাকরি পাবে’। কিন্তু জীবনের সবচেয়ে বড় এই সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য যে অনেক বিষয় বিবেচনা করা উচিত, তা কেউ বলেও না, বা আমরা জানিও না। 

আমাদের অনেকের মতেই স্মার্ট ক্যারিয়ার মানেই চাকুরি। এর বাইরে যে সম্মানজনক আরও অনেক ক্যারিয়ার আছে, তা আমরা জানিই না।

সবার কথা শুনে যখন একটা ক্যারিয়ার পথ বেছে নেই, দেখা যায় সে কাজ করতে গিয়ে তা আর ভালো লাগছে না, ক্যারিয়ার হয়ে পড়েছে বোঝা।

গবেষণায় দেখা গেছে, আমেরিকাতে একজন মানুষ গড়ে ৩ বার তার ক্যারিয়ার পথ পালটায়।

কিন্তু বাংলাদেশে সেটা চাইলেও সম্ভব হয়না, কারণ আমরা শুধু মাত্র একটা কাজের জন্যই তৈরি হই, আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের এটাই শেখায়।

আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, নিম্ন আয়ের দেশ গুলোতে ৮৯% মানুষই তাদের চাকরি পছন্দ করে না, এবং তারা পরিবর্তন করতে চায়। 

এ সমস্যাগুলোর সমাধান একভাবেই করা যায়- শুরুতেই নিজের ক্যারিয়ার নির্বাচনে সচেতন হওয়া, সে হিসেবে নিজেকে তৈরি করা। 

শুরুটা মাধ্যমিক থেকেই: 

ক্যারিয়ার প্ল্যানিং শুরু করা উচিত মাধ্যমিক বা তারও আগে থেকে। তখন থেকে রিসার্চ করা উচিত কোন ফিল্ডের ডিমান্ড ৪-৫ বছর পর অনেক ভাল থাকবে। সে ফিল্ডে যে কাজ করতে হবে, সেসব কাজে আগ্রহ আছে কিনা, কাজগুলো পছন্দ কি না।

তারপর ভাবতে হবে সে কাজ করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাতেও কিছু শেখানো হচ্ছে কি না। সে কাজ করতে হলে কী কী শেখা দরকার তা শিখতে হবে। 

আয়টাও জরুরি: 

ক্যারিয়ার বলতেই আমরা অর্থ উপার্জনের মাধ্যমকে বুঝি। লেখাপড়া শেষ করে একটা ভাল বেতনের চাকরি পেতে হবে, এটাই অনেকের এক মাত্র ভিশন। যদিও ক্যারিয়ার নির্বাচনে সবচেয়ে জরুরি বিষয় এটি নয়, তবে দায়বদ্ধতার কারণে এটা আগে ভাবতে হয়।

যে ফিল্ডগুলোর ডিমান্ড ৪-৫ বছর পরেও বাড়বে, সেগুলোর দিকে নজর দেয়া উচিত হবে। এটা জানার জন্য ইন্টারনেট ঘেঁটে বিভিন্ন খবর, প্রতিবেদন পড়তে হবে। বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণগুলো খুঁজে পড়তে হবে। 

কী ভাল লাগে: 

ক্যারিয়ার শুরু হওয়ার পর ‘কাজ ভাল লাগে না’ রোগে ভুগতে না চাইলে প্রথমেই ভাবা উচিত কি ভাল লাগে। ভাবুন কি এমন কাজ যা করতে ভাল লাগে, যা করতে গিয়ে মনে হয়না কাজ করছেন।

এবং দেখুন সে কাজটা আসলে সিরিয়াস ক্যারিয়ার হিসেবে করা যায় কিনা, বা এটা প্রচলিত কিনা। ধরুন আপনি আঁকতে পছন্দ করেন। খুব ভাল আঁকেন। তাহলে আপনার জন্য ফ্যাশন ডিজাইনিং বা অন্যান্য ডিজাইনিং এর ক্যারিয়ার ভাল হবে।

আবার ধরুন আপনি লেখালেখি ভালবাসেন, তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য লেখালেখি করতে হয় এমন কাজ যেমন সংবাদপত্রে চাকরি ভাল হবে। ভুলেও অপছন্দের কোন কাজকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিবেন না, তাহলে ক্যারিয়ার বোঝা বনে যাবে।



ক্যারিয়ার ধ্বংস করছে যে অভ্যাসগুলো!


বর্তমান সময়ে চাকরি পাওয়ার পর মনে হয় সব চিন্তা শেষ। তবে আপনি যদি আপনার ক্যারিয়ারের উন্নতি চাইলে ভুলেও এমনটা ভাবতে যাবেন না। ক্যারিয়ারের উন্নতি চাইলে আপনাকে সব সময়, সব বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

আর অবশ্যই কিছু অভ্যাস বদলে ফেলতেই হবে। এই অভ্যাসগুলো যদি না বদলাইতে পারেন সেগুলো যা আপনার ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। নিচের একটি তালিকা থেকে জেনে নিন কী কী অভ্যাস আপনার ক্যারিয়ারকে ধসিয়ে দিতে পারে- 

১. অফিসের সবকিছুতেই হ্যাঁ বলাটা কিন্তু খারাপ। সবকিছুতেই রাজি হয়ে যাওয়াটা আপনার ক্যারিয়ার নষ্ট করে দেবে। এটা ঠিক যে, হ্যাঁ বলার জন্য আপনার বস ও সহকর্মীরা আপনার ওপর অনেক খুশি হবেন, তবুও যদি ক্যারিয়ার বাঁচাতে চান, তাহলে ‘না’ বলেতে শিখুন। 

২. অফিসের ই-মেইলগুলো অযথা বড় করে লিখতে যাবেন না। এই ই-মেইলগুলো ছোট করে লিখতে শিখুন। আর সহকর্মীদের পাঠানো ই-মেইলে কখনোই স্মাইলি বা অপ্রয়োজনীয় কথা লিখবেন না। 

৩. আপনি হয়তো অনেক দক্ষ একজন কর্মী, কিন্তু কখনোই নিজের টিমকে অবহেলা বা উপহাস করবেন না। এটা আপনার ক্যারিয়ারের জন্যই ক্ষতিকর। যদি নিজের ক্যারিয়ারে ভালো করতে চান, তাহলে সহকর্মীকে গুরুত্ব দিতে শিখুন। 

৪. সাদামাটাভাবে চাকরি করতে থাকলে একসময় আপনার ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হয়তো আপনার চাকরি যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই, কিন্তু তাই বলে যেমন ইচ্ছা, তেমন করা যাবে না। 

৫. অফিসে নিজের ইগো ধরে রাখলে ভবিষ্যতে আপনারই ক্ষতি হবে। সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ আপনার ক্যারিয়ারের জন্যই ভালো। 

৬. সব সময় শেষ মুহূর্তে কাজ শেষ করা ভালো অভ্যাস নয়। একবার বা দুবার হতে পারে, কিন্তু সব সময় যদি আপনি এমনটা করতে থাকেন, তাহলে বস আপনার ওপর খুবই বিরক্ত হবেন। 

৭. আপনি কাজের বিষয়ে সিরিয়াস না বলে অন্যরাও আপনার মতো হবে, এমনটা ভাববেন না। কোনোভাবেই সহকর্মীদের কাজে সমস্যা করা যাবে না। এর ফলে সহকর্মীরা আপনার কাছে থেকে দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করবে। 

৮. অফিসে বসে হেডফোনে জোরে গান শোনা খুবই খারাপ অভ্যাস। এতে পাশের সহকর্মীরা বিরক্ত হবে। আর আপনার এই আচরণ অন্য কর্মীর ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। 

৯. অফিসে বসে ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদিতে বেশি সময় নষ্ট করলে আপনারই ক্ষতি। এতে সব সময় আপনার মনোযোগ কাজের থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেই বেশি থাকবে।

আর সারাক্ষণ চ্যাট করলে আপনার সহকর্মীরা সেই কথা বসের কানে তুলতে পারে। তাই সাবধান। 

১০. কোনো এক সহকর্মীর বিরুদ্ধে অন্য সহকর্মীদের কাছে কথা বলার অভ্যাস ত্যাগ করুন। এমনকি সহকর্মীদের কথা বসের সঙ্গে বলাও ঠিক নয়। এতে সাময়িক বাহবা পেলেও ভবিষ্যতে আপনি বিপদে পড়বেন। 

১১. সহকর্মী কিংবা বসের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। ক্যারিয়ারের উন্নতি চাইলে অফিসে সবার কথা মন দিয়ে শুনুন। কখনোই এ বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করবেন না। 

১২. অফিসে পরিপাটি পোশাক পরে আসতে হবে। পোশাকে ফিট না থাকলে কাজেও মন বসবে না। আর নিজেকে সুন্দর লাগলে কর্মক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই সাধারণভাবে না এসে গুছিয়ে পরিপাটি পোশাক পরে অফিসে আসুন। 

১৩. সহকর্মী বা বসের সঙ্গে এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না, যা আপনি রক্ষা করতে পারবেন না। আর যদি প্রতিশ্রুতি আপনাকে দিতেই হয়, তাহলে সেটা রক্ষা করার চেষ্টা করুন। 

১৪. আপনার যদি চাকরিটি ভালো নাই লাগে, তাহলে ছেড়ে দিন। চাকরিও ছাড়বেন না, আবার সহকর্মীদের সঙ্গে অফিসের বদনাম করবেন, এটা আপনার ক্যারিয়ারের ওপর অনেক বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। 

১৫. ফোনের রিংটোন সব সময় অন করে রাখার অভ্যাসটা বদলে ফেলুন। এতে অন্য সহকর্মীদের কাজের মনোযোগ নষ্ট হয়। আট ঘণ্টা তো আর ফোন বন্ধ করে রাখা যায় না। তাই মোবাইল ফোনটিকে নীরব বা শব্দ কমিয়ে রাখুন।




এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে আপনার মতামত দিন এবং এটি আপনার বন্ধুদের এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করুন।



এই ওয়েবসাইটটি কোনও অবৈধ সামগ্রী প্রচার করে না, কোনও ধরণের অবৈধ কার্যকলাপকে উৎসাহ দেয় না। এই ওয়েবসাইটটি দরাবরাহিত সমস্ত আর্টিকেল কেবল মাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।