গ্রামীণফোনের VoLTE কী এবং কিভাবে পাওয়া যায়


গ্রামীণফোনের VoLTE কী এবং কিভাবে পাওয়া যায়

সম্প্রতি দেশে এসেছে নতুন ধরনের মোবাইল প্রযুক্তি VoLTE বা ভয়েস ওভার এলটিই। ফোরজি বা চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট ব্যবস্থাকেই মূলত এলটিই বলা হয়। অর্থাৎ ফোরজি বা এলটিই ব্যবহার করে যে ভয়েস কল করা যায়, সেটিকেই বলে VoLTE, বাংলাদেশের বাজারে যা একেবারে নতুন প্রযুক্তি।

বর্তমান ব্যবস্থায় একজন গ্রাহক অন্য গ্রাহককে ফোন দিলে যে পদ্ধতিতে কল সংযোগ স্থাপিত হয়, তার তুলনায় এলটিই ব্যবহার করে করা ভয়েস কল অনেক বেশি দ্রুত ও শব্দ আরো বেশি প্রাণবন্ত হয়।


ফোরজি ইন্টারনেটে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যাবহার করে গ্রাহকরা নিজেদের মধ্যে কথা বলতে পারেন। কিন্তু VoLTE একজন গ্রাহকের বিদ্যমান ভয়েস কল পদ্ধতিতেই আরো উন্নত সেবা প্রদান করে। কিন্তু এখনই গ্রামীণফোনের সব গ্রাহক এই সেবা পাচ্ছেন না।

নতুন এই সেবার স্বাদ নিতে হলে আপনার একটি ফোর-জি সিম থাকতে হবে, ফোরজি ডিভাইস থাকতে হবে এবং ফোরজি কাভারেজ আছে এমন এলাকায় অবস্থান করতে হবে। সব ফোরজি ফোনই যে VoLTE ব্যবহারের উপযুক্ত, তাও কিন্তু নয়।


গ্রামীণফোন তাদের ওয়েবসাইটে বলছে যে, বাংলাদেশের বাজারে থাকা মাত্র ১৬টি মডেলের ডিভাইস VoLTE সেবা দেওয়ার উপযুক্ত। এর মধ্যে আইফোনেরই ভিন্ন ১১টি মডেল আছে। বাকিগুলোর মধ্যে হুয়াওয়ের একটি, ম্যাক্সিমাসের তিনটি এবং স্যামসাংয়ের একটি।

আইফোনের ক্ষেত্রে আইফোন সেভেন এবং এর পরের সংস্করণগুলো VoLTE সমর্থন করবে। ম্যাক্সিমাসের ডি-সেভেন, পি-সেভেন এবং পি-সেভেন প্লাস এই সেবা সমর্থন করবে এবং স্যামসাংয়ের জেফোর-প্লাস ও হুয়াওয়ের নোভা থ্রি-আই ফোনটি রয়েছে। শিগগিরই পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এই তালিকায় আরো ফোন যুক্ত হতে পারে।